কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নির্দেশনায় উখিয়া সদর বিট এবং থ্যায়াংখালী বিটের পৃথক অভিযানে দুইটি বনভূমির পাহাড় থেকে নিয়ে আসা ২ টি অবৈধ মাটি বালি সহ দুটি ডাম্পার গাড়ি আটক করা হয়েছে মঙ্গলবার ২মে বিকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকায় উক্ত অবৈধ মাটি ভর্তি ডাম্পার আটক করতে সক্ষম হয়।.
উখিয়া রেঞ্জের থ্যায়াংখালী বিটের বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাস এর নিরলস পরিশ্রম ও চৌকচ অভিযানে একদল বনকর্মী নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিটের অধীনে তেল খোলা সড়ক থেকে অবৈধ একটি ডাম্পার গাড়ি আটক করে! অন্যদিকে উখিয়া সদর বিটের বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদের নেতৃত্বে অপর একটি অবৈধ মাটি ভর্তি ডাম্পার আটক করা হয় আটককৃত মাটি ভর্তি ডাম্পার এবং মালিকদের বিরুদ্ধে বন আইনের নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান-রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম।.
এ সময় অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন দোছড়ি বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসাইন রাজু) বন-কর্মী ব্লেজার-হেডম্যান-সিপিজির সদস্য সহ অন্যান্যরা।.
বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাস জানিয়েছেন তার কর্মরত বন এলাকাটিতে ভূমিদস্যুরা অত্যন্ত বেপরোয়া একদিক দিয়ে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে কিছু ভূমিদস্যু রাতের অন্ধকারে পাহাড় থেকে মাটি বিক্রি করে বনের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে অন্যদিক দিয়ে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যরা বন বিভাগের মাটি বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদেরকে আটক করার জন্য সব সময় সক্রিয়ভাবে কাজ করা হচ্ছে। তবে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে এবং ডাম্পার দিয়ে মাটি বিক্রি করার কারণে অনেক সময় দুষ্কৃতি কারীদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না । কিন্তূ বনের গাছ কাটা বনের পাহাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা বনের জায়গাতে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা কোন কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না এবং যারা এর পেছনে জড়িত থাকবে তাদেরকে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।.
রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানিয়েছেন উখিয়া রেঞ্জ এলাকায় ভূমিদস্যুরা অত্যন্ত শক্তিশালী ও বেপরোয়া গেল ৬ মাসে বনের জায়গা থেকে মাটি কাটার অপরাধে অন্তত ১০ টির ও বেশি অবৈধ ডাম্পার আটক করা হয় ।.
এবং কাঠ ছিঁড়ানোর করাত কল আটক করা হয় ১২ টিরও বেশি ও অবৈধভাবে বনের জায়গা থেকে বালি উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয় অন্তত ১০ টি উক্ত আটককৃত ডাম্পার -করাত কল-বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে বন বিভাগের নিয়মিত মামলা দায়ের সহ জরিমানা করা হয় বন বিভাগের নিয়মিত এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।. .
ডে-নাইট-নিউজ / দিদারুল আলম জিসান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: